প্রলয়োল্লাস কবিতার প্রশ্ন উত্তর, প্রলয়োল্লাস কবিতা থেকে প্রশ্ন উত্তর, প্রলয়োল্লাস কবিতার MCQ, প্রলয়োল্লাস কবিতার SAQ, প্রলয়োল্লাস কবিতার প্রশ্ন উত্তর PDF, প্রলয়োল্লাস কবিতার প্রশ্ন উত্তর 2022, প্রলয়োল্লাস কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর, প্রলয়োল্লাস কবিতার ছোট প্রশ্ন উত্তর, প্রলয়োল্লাস কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর, প্রলয়োল্লাস কবিতার রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর, ক্লাস টেনের প্রলয়োল্লাস কবিতার প্রশ্ন উত্তর, মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উত্তর।
Table of Contents
প্রলয়োল্লাস কবিতার প্রশ্ন উত্তর
Bangla Shiksha : প্রলয়োল্লাস কবিতার প্রশ্ন উত্তর। পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক পরীক্ষায় 30 শতাংশের বেশি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর (MCQ) থাকে। তোমরা যদি এই বিভাগে সম্পূর্ণ নম্বর তুলতে পারো, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নম্বর অনেকটা বেড়ে যায়। তাই তোমাদের সুবিদার্থে আমরা প্রতিটা গল্প, নাটক ও কবিতা থেকে বাছাই করে অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (SAQ) এবং বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর (MCQ) নিয়ে এসেছি।
প্রলয়োল্লাস কবিতার প্রশ্ন উত্তর MCQ
1) ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত, সেটি হল-
[A] অগ্নিবীণা
[B] সর্বহারা
[C] ফণিমনসা
[D] ঝড়
2) ‘কেতন’ শব্দের অর্থ হল-
[A] পতাকা
[B] শিখা
[C] ওড়না
[D] জয়টিকা
3) কবি ‘নূতনের কেতন’ বলছেন?
[A] কালবোশেখীর ঝড়কে
[B] দ্বাদশ রবির বহ্নিজ্বালাকে
[C] অট্টরোলের হট্টগোলকে
[D] বিশ্বমায়ের আসনকে
4) বজ্রশিখার মশাল জ্বেলে কে আসছে?
[A] শুভংকর
[B] ভয়ংকর
[C] শংকর
[D] দিগম্বর
5) ভয়ংকরের রক্তে কী ঝোলে?
[A] তরবারি
[B] ছুরিকা
[C] পতাকা
[D] কৃপাণ
6) “রক্ত তাহার কৃপাণ ঝোলে” —’কৃপাণ’ শব্দের অর্থ কী?
[A] কৃপণ
[B] খড়্গ
[C] কৃষক
[D] কালো
7) “ভয়াল তাহার নয়নকটায়” — ‘নয়নকাটায়’ কার বহ্নিজ্বালা —
[A] একাদশ রবির
[B] দ্বাদশ রবির
[C] বহ্নি শিখার
[D] রাগানলের
8) “সপ্ত মহাসিন্ধু দোলে / কপোলতলে!” —’কপোল’ শব্দের অর্থ কী?
[A] চিবুক
[B] কপাল
[C] গন্ডদেশ বা গাল
[D] গলা
9) ‘মাভৈ:’ শব্দটির অর্থ হল-
[A] ভয়ে লুকিয়ে থাকো
[B] ভয় কোরো না
[C] ভয়ে সিঁটিয়ে থাকো
[D] বিদ্রোহ করো
10) “তোরা সব জয়ধ্বনি কর!” —বাক্যটি ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ব্যবহৃত হয়েছে –
[A] ১৬ বার
[B] ২০ বার
[C] ১৮ বার
[D] ১৯ বার
11) ‘উল্কা ছুটায় নীল খিলানে!’ — ‘নীল খিলানে’ বলে এখানে বোঝানো হয়েছে-
[A] গাছপালাকে
[B] আকাশকে
[C] প্রাসাদকে
[D] মহাকাশকে
12) শোনা যায় ওই —
[A] পদধ্বনি
[B] বজ্রনিনাদ
[C] রথঘর্ঘর
[D] প্রলয় নাচন
13) “জীবনহারা অসুন্দর” — ‘জীবনহারা’ বলতে কবি বুঝিয়েছেন –
[A] মৃত্যুকে
[B] স্থবিরতাকে
[C] মানসিক সংস্কার ও স্থবিরতাকে
[D] অর্ধমৃত মানুষকে
14) “জীবনহারা অসুন্দরে করতে ছেদন” —কে আসে?
[A] নবীন
[B] চিরসুন্দর
[C] মহাকাল সারথি
[D] প্রলয়
15) “কাল-ভয়ংকরের বেশে ওই আসে…” —যে আসে সে হল-
[A] সুন্দর
[B] অসুন্দর
[C] ভুতের দল
[D] অসুরের
অভিষেক কবিতার প্রশ্ন উত্তর SAQ
প্রশ্নঃ “তোরা সব জয়ধ্বনি কর!” —কবি কাদের জয়ধ্বনি করতে বলেছেন?
উত্তরঃ আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে ‘তোরা’ বলতে পরাধীন ভারতবর্ষে ইংরেজ কর্তৃক অত্যাচারিত, কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ভারতীয়দের কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্নঃ “মৃত্যুগ্রহন অন্ধকূপে” —’অন্ধকূপ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ ‘অন্ধকূপ’ কথাটির অর্থ আবৃত অন্ধকারময় কূপ হলেও কবিতায় ‘মৃত্যু ঘন অন্ধকূপ’ হল পরাধীন ভারতবর্ষ।
প্রশ্নঃ “ব্রজশিখার মশাল” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ ‘ব্রজশিখার মশাল’ অর্থাৎ ব্রজের আগুন। ব্রিটিশ পদানত ভারতবর্ষের বুকে পুঞ্জীভূত অন্ধকারকে দূর করবে এই বজ্রের আগুন। যার সর্বগ্রাসী তেজে দগ্ধ্ হবে সকল জীর্ণতা – হীনতা।
প্রশ্নঃ “ওরে ওই স্তব্ধ চরাচর!” — ‘চরাচর’ স্তব্ধ কেন?
উত্তরঃ সমগ্র বিশ্ব জুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যের গ্লানিকে দূর করতে প্রয়োজন ধ্বংস ও সৃষ্টির দেবতা নটরাজের প্রলয়নাচন। ধ্বংসলীলায় উন্মত্ত নটরাজের ভয়ংকর হাসিতে ভীতসন্ত্ৰত পৃথিবী মৌন ও স্তব্ধ হয়ে পড়েছে।
প্রশ্নঃ ‘বিশ্বমায়ের আসন’ কোথায় পাতা?
উত্তরঃ কবি নজরুলের ভাবনায় বিশ্বমায়ের আসন ভয়ংকরের বিপুল বাহুর অবস্থিত।
প্রশ্নঃ “দিগম্বরের যেতে হাসে” — কার হাসির কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ দিগম্বরের যেতে শিশু-চাঁদের কিরণের হাসির কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্নঃ “ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর?” —কবি এ প্রশ্ন কাদের উদ্দেশে করেছেন?
উত্তরঃ কবি নজরুল ইসলাম তরুণ বিপ্লবীদের উদ্দেশে উদ্ধৃত প্রশ্নটি করেছেন।
প্রশ্নঃ “ভেঙে আবার গড়তে জানে সে চিরসুন্দর।” —’সে’ কে?
উত্তরঃ নবীনের দল দেশের অরাজকতা, অন্ধত্বের বেড়াজাল ছিন্ন করে নতুন রূপে, সমাজ গর্তে জানে। এখানে তাদের কথাই বলা হয়েছে।
প্রশ্নঃ “ওই ভাঙা=গড়া খেলা যে তার” —’ভাঙা-গড়া খেলা’ কী?
উত্তরঃ ‘ভাঙা-গড়া খেলা’ হল ধ্বংস ও সৃষ্টি। ধ্বংসের পরেই ঘটে নবসৃষ্টি। কবি একেই ‘ভাঙা-গড়া খেলা’ বলেছেন।
প্রশ্নঃ “বধূরা প্রদীপ তুলে ধর।” — বধূরা প্রদীপ তুলে ধরবে কেন?
উত্তরঃ প্রলয়দেবতা আসছেন প্রলয় ঘটিয়ে এ সমাজকে আবার নতুন করে গড়ে তুলতে। তাই সেই দেবতাকে বরণ করতে বধূদের প্রদীপ তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন কবি নজরুল।