নদীর বিদ্রোহ গল্পের প্রশ্ন উত্তর, নদীর বিদ্রোহ গল্পের প্রশ্ন উত্তর MCQ, নদীর বিদ্রোহ গল্পের প্রশ্ন উত্তর SAQ, নদীর বিদ্রোহ গল্পের প্রশ্ন উত্তর PDF, নদীর বিদ্রোহ প্রশ্ন উত্তর 2022, নদীর বিদ্রোহ বড় প্রশ্ন উত্তর, নদীর বিদ্রোহ গল্পের ছোট প্রশ্ন উত্তর, নদীর বিদ্রোহ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর, নদীর বিদ্রোহ গল্পের রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর, ক্লাস টেনের নদীর বিদ্রোহ গল্পের প্রশ্ন উত্তর, মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উত্তর।
Table of Contents
নদীর বিদ্রোহ গল্পের প্রশ্ন উত্তর
Bangla Shiksha : নদীর বিদ্রোহ প্রশ্ন উত্তর। পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক পরীক্ষায় 30 শতাংশের বেশি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর (MCQ) থাকে। তোমরা যদি এই বিভাগে সম্পূর্ণ নম্বর তুলতে পারো, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নম্বর অনেকটা বেড়ে যায়। তাই তোমাদের সুবিদার্থে আমরা প্রতিটা গল্প, নাটক ও কবিতা থেকে বাছাই করে অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (SAQ) এবং বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর (MCQ) নিয়ে এসেছি।
নদীর বিদ্রোহ গল্পের প্রশ্ন উত্তর MCQ
1) “নদীর বিদ্রোহ” রচনায় যে সময়ের ট্রেনের রওনা করানোর কথা আছে তা হল-
[A] চারটা পঞ্চান্ন
[B] চারটা পঁয়তাল্লিশ
[C] চারটা পঁয়ত্রিশ
[D] চারটা পঁচিশ
2) স্টেশন থেকে নদীর উপরকার ব্রিজের দূরত্ব হল-
[A] পাঁচ মাইল
[B] এক মাইল
[C] পাঁচ কিলোমিটার
[D] এক কিলোমিটার
3) কতদিন “নদীকে দেখা হয় নাই?” —
[A] সাত দিন
[B] চার দিন
[C] ছয় দিন
[D] পাঁচ দিন
4) নদের চাঁদের বয়স –
[A] পঁচিশ বছর
[B] ত্রিশ বছর
[C] পঁয়ত্রিশ বছর
[D] চল্লিশ বছর
5) নিজের কোন পাগলামিতে নদেরচাঁদ আনন্দ উপভোগ করে?
[A] নিজের জন্য পাগল হওয়াতে
[B] নদীর জন্য পাগল হওয়াতে
[C] বৃষ্টির জন্য পাগল হওয়াতে
[D] সংসারের জন্য পাগল হওয়াতে
6) চোখের পলকে কী অদৃশ্য হয়ে যায়?
[A] বইখানা
[B] চিঠিখানা
[C] পত্রিকাটি
[D] খাতা খানা
7) বউকে চিঠি লিখতে নদেরচাঁদের সময় লেগেছিল —
[A] পাঁচ দিন
[B] সাত দিন
[C] এক দিন
[D] দু-দিন
8) নদেরচাঁদ বউকে প্রানপনে কত পাতা জুড়ে একটি চিঠি লিখেছিল?
[A] ছয় পাতা
[B] পাঁচ পাতা
[C] চার পাতা
[D] দুই পাতা
9) “তারপর নামিল বৃষ্টি।” —বৃষ্টি পড়েছিল —
[A] টিপটিপ করে
[B] অঝোরে
[C] মুষলধারায়
[D] ঝমঝম করে
10) “সে কী মুষলধারায় বর্ষণ” —পাঁচ দিনের বর্ষনের পর কতক্ষন বর্ষণ থেমেছিল?
[A] এক ঘন্টা
[B] দুই ঘন্টা
[C] তিন ঘন্টা
[D] চার ঘন্টা
11) “বড়ো ভয় করিতে লাগিল নদেরচাঁদের।” —ভয়ের কারণ ছিল —
[A] অধিকার
[B] বৃষ্টি
[C] নদীর প্রতিহিংসা
[D] নদীর স্ফীতি
12) “পারিলেও মানুষ কি তাকে রেহাই দিবে?” —যার কথা বলা হয়েছে তা হল-
[A] বাঁধ
[B] নদী
[C] ব্রিজ
[D] নদেরচাঁদ
13) “নদেরচাঁদকে পিষিয়া দিয়া চলিয়া গেল।” —
[A] ৫ নং আপ প্যাসেঞ্জার
[B] ৫ নং ডাউন প্যাসেঞ্জার
[C] ৭ নং আপ প্যাসেঞ্জার
[D] ৭ নং ডাউন প্যাসেঞ্জার
14) নদেরচাঁদ কত বছর ষ্টেশনমাস্টারি করেছে?
[A] পাঁচ বছর
[B] চার বছর
[C] তিন বছর
[D] দু-বছর
15) নদেরচাঁদ চার বছর কাকে ভালোবেসেছে?
[A] ছোটো স্টেশনটিকে
[B] বন্দি নদীকে
[C] মুক্ত প্রশান্তকে
[D] প্রশস্ত নদীকে
নদীর বিদ্রোহ গল্পের ছোট প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ “নদেরচাঁদ সব বোঝ।” — নদেরচাঁদ কী বোঝো?
উত্তরঃ “নদীর বিদ্রোহ” গল্পের নদেরচাঁদ জানত যে, নদীর প্রতি তার আকর্ষণ অনেকটা পাগলামির পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত একজন পরিণত মানুষের এই পাগলামি বাকিদের যে অস্বাভাবিক মনে হতে পারে, তা নদেরচাঁদ বোঝে।
প্রশ্নঃ “চিরদিন নদীকে সে ভালোবাসিয়াছে।” —কেন?
উত্তরঃ নদীমাতৃক বঙ্গদেশের সন্তান নদেরচাঁদের জন্ম নদীর ধারে, সেখানেই তার বড়ো হয়ে ওঠা। শৈশবে, দেশের ক্ষীণস্রোত নির্জীব নদীটি অসুস্থ, দুর্বল আত্মীয়ের মতো তার মমতা পেয়েছিল। নদী তার প্রানধারা, প্রাত্যহিকতার অঙ্গ। এই আজন্ম সংযোগের কারনেই নদীকে সে ভালোবেসেছিল।
প্রশ্নঃ মানিক বন্দোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম কী?
উত্তরঃ মানিক বন্দোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম প্রবোধ কুমার বন্দোপাধ্যায়।
প্রশ্নঃ “সে প্রায় কাঁদিয়া ফেলিয়াছিল।” — ‘সে’ কেঁদে ফেলছিল কেন?
উত্তরঃ নদেরচাঁদের দেশের ক্ষীণস্রোত নির্জীব নদীটি একবার তাকে খুব কষ্ট দিয়েছিল। অনাবৃষ্টির ফলে সেই নদীর ক্ষীণ স্রোতধারা প্রায় শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে ‘সে’ অর্থাৎ নদেরচাঁদ কেঁদে ফেলেছিল।
প্রশ্নঃ “নদীর দিকে দৃষ্টিপাত করিয়াই নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হইয়া গেল” কেন?
উত্তরঃ অবিরাম বৃষ্টির কারণে নদেরচাঁদ পাঁচ দিন নদীকে দেখতে যেতে পারেনি। পাঁচ দিন আগে বর্ষার জলে পরিপুষ্ট নদীতে নদেরচাঁদ আনন্দপূর্ণ চাঞ্চল্য লক্ষ্য করেছিল কিন্তু পাঁচ দিন পর সেই নদীর ক্ষিপ্ত, গাঢ়, ফেনোচ্ছাসিত ভয়ংকর রূপকে প্রথমবার দেখে স্তম্ভিত হয়ে যায়।
প্রশ্নঃ বর্ষণপুষ্ট নদীকে নদেরচাঁদের অপরিচিত বলে মনে হয়েছিল কেন?
উত্তরঃ নদেরচাঁদ পাঁচ দিন আগে তার চার বছরের পরিচিত বর্ষার জলে পুষ্ঠ নদীতে দেখেছিল পরিপূর্ন আনন্দের প্রকাশ। কিন্তু পাঁচ দিনের অবিরাম বৃষ্টির পর নদীর গাঢ় ও পঙ্খিল জল ফুলে ফেঁপে উঠে যেন বিদ্রোহ করছে। পরিচিত সংকীর্ণ ক্ষীণস্রোত নদীর এই রূপ নদেরচাঁদের অপরিচিত মনে হয়েছিল।
প্রশ্নঃ কোথায় বসে নদেরচাঁদের প্রতিদিন নদীকে দেখে?
উত্তরঃ নদেরচাঁদ প্রতিদিন সেতুর মাঝামাঝি ইট, সুরকি আর সিমেন্টে গাঁথা ধারকস্তম্ভের শেষ প্রান্তে বসে নদীকে দেখে।
প্রশ্নঃ পকেট থেকে কী বার করে নদেরচাঁদ স্রোতের মধ্যে ছুড়ে দিয়েছিল?
উত্তরঃ “নদীর বিদ্রোহ” গল্পের নায়ক নদেরচাঁদ পকেট থেকে একটি পুরোনো চিঠি বার করে নদীর স্রোতের মধ্যে ছুড়ে দিয়েছিল।
প্রশ্নঃ “এক একখানি পাতা ছিঁড়িয়া দুমড়াইয়া মোচড়াইয়া মোচড়াইয়া জলে ফেলিয়া দিতে লাগিল।” —উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কীসের পাতা হলে ফেলতে লাগল?
উত্তরঃ নদেরচাঁদ তার বউকে লেখা পাঁচ পাতার একটি চিঠির এক-একটা করে পাতা ছিঁড়ে দুমড়ে-মুচড়ে জলে ফেলতে শুরু করেছিল।
প্রশ্নঃ “বড়ো ভয় করিতে লাগিল নদের চাঁদের” —নদের চাঁদের কেন ভয় করতে লাগল?
উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশ বর্ষার জলে পুষ্ট বিদ্রোহিনী নদীকে দেখে নদের চাঁদের ভয় লাগার কথা বলা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে নদী আরও উত্তাল হয়ে ওঠে। সে উপলব্ধি করে রোষে-ক্ষোভে উন্মত্ত নদীর এত কাছে বসে থাকা উচিত হয়নি।